মূলত শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৪, সকাল ৬:২৫ তারিখে জার্মান ভাষায় প্রকাশিত www.letztercountdown.org

"বলিদানের ছায়া" বইয়ের প্রথম অংশে, আমি ইতিমধ্যেই উৎসবের উৎসর্গের প্রকৃত অর্থ কী, অর্থাৎ নির্দিষ্ট জরুরি সময়ের জন্য পবিত্র আত্মার একটি নির্দিষ্ট "বিধান" -এর গোপন রহস্য উন্মোচন করেছি। এই দ্বিতীয় অংশে, আমরা আমাদের সময়ে কী ধরণের জরুরি অবস্থা আশা করতে পারি তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।

আসুন আমরা আবারও আমাদের স্মৃতি সতেজ করি যে, কোরবানির পশুদের অর্থ কী ছিল:

যিহুদি উপাসনা ব্যবস্থার প্রবর্তক ছিলেন খ্রীষ্ট নিজেই, যেখানে, ধরণ এবং প্রতীক দ্বারা, আধ্যাত্মিক এবং স্বর্গীয় জিনিসগুলিকে ছায়াযুক্ত করা হয়েছিল। অনেকেই এই বলিদানের প্রকৃত তাৎপর্য ভুলে গিয়েছিল; এবং একমাত্র খ্রীষ্টের মাধ্যমেই পাপের ক্ষমা পাওয়া যায় এই মহান সত্যটি তাদের কাছে হারিয়ে গিয়েছিল। বহুসংখ্যক বলিদান, ষাঁড় ও ছাগলের রক্ত, পাপ দূর করতে পারেনি। । । ।

প্রতিটি ত্যাগের মধ্যে একটি শিক্ষা মূর্ত ছিল, প্রতিটি অনুষ্ঠানে মুগ্ধ, তাঁর পবিত্র পদে পুরোহিত কর্তৃক গম্ভীরভাবে প্রচারিত, এবং স্বয়ং ঈশ্বর কর্তৃক অনুপ্রাণিত--যে কেবল খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমেই পাপের ক্ষমা পাওয়া যায়। {এজি ১৫৫.৩–৪}

আবারও, আমি আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি যে আমাদের সময়ে এই প্রাচীন রীতিনীতিগুলি আবার চালু করতে হবে এই বিশ্বাসের ভুল করবেন না:

ইহুদিদের কাছে যা ছিল আদর্শ এবং প্রতীক, তা আমাদের কাছে বাস্তবতা। {COL 317.2}

ভবিষ্যদ্বাণীর আত্মা থেকে আমরা জানতে পারি যে ইহুদিদের আচার-অনুষ্ঠান হল ভবিষ্যদ্বাণী:

ইহুদি আইনের সকল অনুষ্ঠান ছিল ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ, মুক্তির পরিকল্পনার রহস্যের বৈশিষ্ট্য। {৭বিসি ৯৮৯.৭}

বলিদানের শিক্ষার মাধ্যমে, খ্রীষ্টকে সমস্ত জাতির সামনে উন্নীত করা উচিত ছিল, এবং যারা তাঁর দিকে তাকাবে তাদের সকলের বেঁচে থাকা উচিত। খ্রীষ্ট ছিলেন ইহুদি অর্থনীতির ভিত্তি। ধরণ এবং প্রতীকের সমগ্র ব্যবস্থা ছিল একটি সংকুচিত ভবিষ্যদ্বাণী সুসমাচারের, এমন একটি উপস্থাপনা যেখানে মুক্তির প্রতিশ্রুতিগুলি আবদ্ধ ছিল। {এএ 14.1}

এলেন জি. হোয়াইট আমাদের আরও বলেন যে, আমাদের সময়ে শরৎ উৎসবগুলি অবশ্যই একইভাবে পূর্ণ হবে যেমন যীশুর সময়ে বসন্ত উৎসবগুলি পূর্ণ হয়েছিল:

পুরাতন নিয়মের ধরণ থেকে সংগৃহীত যুক্তিগুলিও নির্দেশ করে যে শরৎকাল পর্যন্ত "পবিত্র স্থানের শুদ্ধিকরণ" দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ঘটনাটি অবশ্যই সেই সময় ঘটবে। খ্রিস্টের প্রথম আবির্ভাবের সাথে সম্পর্কিত রূপগুলি কীভাবে পূর্ণ হয়েছিল সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার সাথে সাথে এটি খুব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

নিস্তারপর্বের মেষশাবক হত্যা ছিল খ্রীষ্টের মৃত্যুর ছায়া। পৌল বলেন: “আমাদের নিস্তারপর্বের খ্রীষ্ট, আমাদের জন্য বলিদান করা হয়েছে।” ১ করিন্থীয় ৫:৭। নিস্তারপর্বের সময় প্রভুর সামনে দোলানো প্রথম ফলের আঁটি খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের বৈশিষ্ট্য ছিল। প্রভু এবং তাঁর সমস্ত লোকের পুনরুত্থানের কথা বলতে গিয়ে পৌল বলেন: “খ্রীষ্টই প্রথম ফল; পরে তাঁর আগমনের সময় যারা খ্রীষ্টের তারা।” ১ করিন্থীয় ১৫:২৩। ফসল কাটার আগে সংগ্রহ করা প্রথম পাকা শস্যের আঁটির মতো, খ্রীষ্ট হলেন মুক্তিপ্রাপ্তদের সেই অমর ফসলের প্রথম ফল যা ভবিষ্যতের পুনরুত্থানে ঈশ্বরের শস্যভাণ্ডারে সংগ্রহ করা হবে।

এই ধরণগুলি কেবল ঘটনার ক্ষেত্রেই নয়, কিন্তু সময়ের ব্যাপারে. প্রথম ইহুদি মাসের চৌদ্দতম দিনে, যেদিন এবং যে মাসে পনেরো শতাব্দী ধরে নিস্তারপর্বের মেষশাবককে হত্যা করা হয়েছিল, খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদের সাথে নিস্তারপর্ব ভোজ খাওয়ার পর, সেই উৎসবটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা তাঁর নিজের মৃত্যুর স্মরণে ছিল "ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপ দূর করেন।" সেই রাতেই তাঁকে দুষ্টদের হাতে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এবং আমাদের প্রভু তরঙ্গের আঁটির প্রতিরূপ হিসাবে তৃতীয় দিনে মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন, "যারা ঘুমিয়েছিল তাদের প্রথম ফল," সমস্ত পুনরুত্থিত ধার্মিকদের একটি নমুনা, যাদের "নীচ দেহ" পরিবর্তিত হবে, এবং "তাঁর মহিমান্বিত দেহের মতো তৈরি হবে।" পদ ২০; ফিলিপীয় ৩:২১।

একইভাবে, দ্বিতীয় আবির্ভাবের সাথে সম্পর্কিত প্রকারগুলি প্রতীকী উপাসনায় উল্লেখিত সময়ে পূর্ণ হতে হবে। {জিসি ৩৭০.২–৩৭২.৩}

বসন্তের জন্য শরৎকালে শিক্ষা

শরৎ উৎসবের জন্য বলিদানের সংখ্যা যে পবিত্র আত্মার এক বিশেষ "ব্যবস্থা", সেই তত্ত্বকে সমর্থন করার জন্য, মহামারীর (যাকে মহামারীর সময়ও বলা হয়) জন্য, আমাদের প্রথমে ইতিহাস আমাদের কী শিক্ষা দেয় তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বসন্ত উৎসবের উপর ভিত্তি করে, আমরা একটি "জরুরি সময়ের" কিছু বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে পারি যা আমাদের সময়েও একইভাবে পুনরাবৃত্তি করতে হবে:

1. যীশু এখনও স্বর্গীয় অভয়ারণ্যে তাঁর পরিচর্যা শুরু করেননি - আমাদের সময়ে, যথাক্রমে, সে পবিত্র স্থান ত্যাগ করবে.
2. পবিত্র আত্মা তখনও আসেননি - আমাদের সময়ে, যথাক্রমে, পবিত্র আত্মা (জগৎ থেকে) প্রত্যাহার করা হবে।

In প্রারম্ভিক লেখা শিরোনামের অধ্যায়ের শুরুতে সিলিং, আমরা নিম্নলিখিতগুলি পড়তে পারি:

১৮৪৯ সালের ৫ জানুয়ারী পবিত্র বিশ্রামবারের শুরুতে, আমরা কানেকটিকাটের রকি হিলে ভাই বেলডেনের পরিবারের সাথে প্রার্থনায় লিপ্ত হই এবং পবিত্র আত্মা আমাদের উপর অধিষ্ঠিত হন। আমাকে দর্শনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সবচেয়ে পবিত্র স্থান, যেখানে আমি যীশুকে এখনও ইস্রায়েলের জন্য মধ্যস্থতা করতে দেখেছি। তাঁর পোশাকের নীচে একটি ঘণ্টা এবং একটি ডালিম ছিল। তারপর আমি দেখলাম যে যীশু পবিত্র স্থান ত্যাগ করবেন না যতক্ষণ না প্রতিটি মামলার সিদ্ধান্ত হয় পরিত্রাণ বা ধ্বংসের জন্য, এবং ঈশ্বরের ক্রোধ আসতে পারে না। যতক্ষণ না যীশু মহাপবিত্র স্থানে তাঁর কাজ শেষ করেন, তাঁর পুরোহিতের পোশাক ত্যাগ করেন এবং প্রতিশোধের পোশাক পরেন. তারপর যীশু পিতা ও মানুষের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসবেন, এবং ঈশ্বর আর নীরব থাকবেন না, বরং যারা তাঁর সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের উপর তাঁর ক্রোধ ঢেলে দেবেন। আমি দেখলাম যে জাতিগণের ক্রোধ, ঈশ্বরের ক্রোধ এবং মৃতদের বিচারের সময় পৃথক এবং স্বতন্ত্র ছিল, একটির পরে আরেকটি, আরও জানালেন যে মাইকেল এখনও উঠে দাঁড়াননি, এবং এমন দুর্দশার সময় এখনও শুরু হয়নি, যেমন কখনও হয়নি। জাতিগুলো এখন রেগে যাচ্ছে, কিন্তু যখন আমাদের মহাযাজক পবিত্র স্থানে তাঁর কাজ শেষ করবেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়াবেন, প্রতিশোধের পোশাক পরবেন, এবং তারপর শেষ সাতটি আঘাত ঢেলে দেওয়া হবে।

আমি দেখলাম যে চারজন স্বর্গদূত চারটি বাতাসকে ধরে রেখেছেন যতক্ষণ না যীশুর কাজ পবিত্র স্থানে সম্পন্ন হয়, এবং তারপর সাতটি শেষ আঘাত আসবে। {ইডব্লিউ ৫৪.২–৫৬.১}

বাইবেলের সংশ্লিষ্ট অংশটি হল:

আর সেই সময় তোমার লোকদের সন্তানদের জন্য দাঁড়ানো মহান রাজপুত্র মীখায়েল উঠে দাঁড়াবে। এবং এমন এক কষ্টের সময় আসবে, যা একটি জাতি সৃষ্টির পর থেকে সেই সময় পর্যন্ত কখনও হয়নি।: সেই সময় তোমার প্রজারা, যাদের নাম পুস্তকে লেখা থাকবে, তারা সকলেই উদ্ধার পাবে। (দানিয়েল ১২:১)

অনুগ্রহ করে প্রকাশিত বাক্য ১৯ও লক্ষ্য করুন:

আর আমি স্বর্গ খুলে দেখলাম, আর দেখো একটি সাদা ঘোড়া; আর যিনি তার উপরে বসে আছেন তাঁকে বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী বলা হয়, আর তিনি ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করেন ও যুদ্ধ করেন। তাঁর চোখ আগুনের শিখার মতো, এবং তাঁর মাথায় অনেক মুকুট ছিল; এবং তাঁর একটি নাম লেখা ছিল, যা তিনি ছাড়া আর কেউ জানত না। তিনি রক্তে ডুবানো পোশাক পরেছিলেন: এবং তাঁর নাম ঈশ্বরের বাক্য নামে পরিচিত। আর স্বর্গের সেনাবাহিনী তাঁর পিছনে পিছনে গেল। সাদা ঘোড়ার উপরতিনি সাদা ও পরিষ্কার মসীনার পোশাক পরিহিত। তাঁর মুখ থেকে একটি ধারালো তরবারি বের হচ্ছে, যাতে তিনি জাতিদের আঘাত করতে পারেন: এবং তিনি লৌহদণ্ড দিয়ে তাদের উপর শাসন করবেন: এবং তিনি প্রচণ্ডতার দ্রাক্ষাকুণ্ড মাড়ান এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ক্রোধ. (প্রকাশিত বাক্য 19:11-15)

ওরিয়নে, সাদা ঘোড়া ২০১৪ সালকে প্রতিনিধিত্ব করে, যার পরে মহামারী পড়তে শুরু করবে। এটি তখন ঘড়ির কাঁটা ১৮৪৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পুরো একটি ঘূর্ণন ঘটিয়ে ফেলবে, যা ২০১৪ সালের শরৎকাল থেকে ২০১৫ সালের শরৎকাল পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এরপর যীশু স্বর্গীয় মন্দির ত্যাগ করবেন এবং সেই সময় শুরু হবে যখন আমাদের মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই পিতার সামনে বাস করতে হবে।

যে অন্যায় করে, সে আরও অন্যায় করুক: আর যে নোংরা, সে আরও নোংরা থাকুক: আর যে ধার্মিক, সে আরও ধার্মিক থাকুক: আর যে পবিত্র, সে আরও পবিত্র থাকুক। (প্রকাশিত বাক্য ২২:১১)

আমরা এটিকে করুণার দরজা বন্ধ হওয়ার পরের সময় (পরীক্ষার সমাপ্তি) হিসাবে উল্লেখ করি, কারণ সেই সময় থেকে অন্য কেউ রক্ষা পাবে না, কেবল যারা পূর্বে সীলমোহর করা হয়েছিল তারা ছাড়া।

যীশু যখন মহাপবিত্র স্থান থেকে বেরিয়ে এলেন, তখন আমি তাঁর পোশাকের উপর ঘণ্টার ঝনঝন শব্দ শুনতে পেলাম; এবং তিনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে পৃথিবীর বাসিন্দাদের অন্ধকারের মেঘ ঢেকে ফেলল। তখন দোষী ব্যক্তি এবং একজন বিক্ষুব্ধ ঈশ্বরের মধ্যে কোন মধ্যস্থতাকারী ছিল না। যীশু যখন ঈশ্বর এবং দোষী মানুষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন মানুষের উপর একটা বাধা ছিল; কিন্তু যখন তিনি মানুষ এবং পিতার মাঝখান থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন সেই বাধা দূর হয়ে যায় এবং শয়তানের হাতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যায় যারা অবশেষে অনুতপ্ত হয়। যীশু যখন পবিত্র স্থানে কাজ করতেন, তখন মহামারী ঢেলে দেওয়া অসম্ভব ছিল; কিন্তু যখন তাঁর কাজ শেষ হয়ে যায় এবং তাঁর মধ্যস্থতা বন্ধ হয়ে যায়, তখন ঈশ্বরের ক্রোধ থামানোর মতো কিছু থাকে না, এবং এটি সেই দোষী পাপীর আশ্রয়হীন মাথার উপর ক্রোধে ভেঙে পড়ে, যে পরিত্রাণকে অবহেলা করেছে এবং তিরস্কারকে ঘৃণা করেছে। সেই ভয়ঙ্কর সময়ে, যীশুর মধ্যস্থতার সমাপ্তির পর, সাধুরা একজন পবিত্র ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বাস করছিলেন। সুপারিশকারী ছাড়া। প্রতিটি মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছিল, প্রতিটি রত্ন সংখ্যাযুক্ত ছিল। যীশু স্বর্গীয় পবিত্র স্থানের বাইরের কক্ষে এক মুহূর্ত অবস্থান করেছিলেন, এবং তিনি যখন অতি পবিত্র স্থানে ছিলেন তখন যে পাপ স্বীকার করেছিলেন তা পাপের উৎপত্তিকর্তা শয়তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাকে অবশ্যই তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

তারপর আমি দেখলাম যীশু তাঁর পুরোহিতের পোশাক ত্যাগ করলেন এবং তাঁর সবচেয়ে রাজকীয় পোশাক পরলেন। তাঁর মাথায় অনেক মুকুট ছিল, একটি মুকুটের মধ্যে একটি মুকুট। স্বর্গদূতদের দ্বারা বেষ্টিত হয়ে তিনি স্বর্গ ত্যাগ করলেন। পৃথিবীর বাসিন্দাদের উপর মহামারী নেমে আসছিল। কেউ কেউ ঈশ্বরের নিন্দা করছিল এবং তাঁকে অভিশাপ দিচ্ছিল। অন্যরা ঈশ্বরের লোকেদের কাছে ছুটে গেল এবং তাঁর বিচার থেকে কীভাবে তারা বাঁচতে পারে তা শেখানোর জন্য অনুরোধ করল। কিন্তু সাধুদের কাছে তাদের জন্য কিছুই ছিল না। পাপীদের জন্য শেষ চোখের জল ঝরে গেছে, শেষ যন্ত্রণাদায়ক প্রার্থনা করা হয়েছে, শেষ বোঝা বহন করা হয়েছে, শেষ সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে। করুণার মধুর কণ্ঠস্বর আর তাদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি। যখন সাধুগণ এবং সমস্ত স্বর্গ তাদের পরিত্রাণের জন্য আগ্রহী ছিলেন, তখন তাদের নিজেদের জন্য কোনও আগ্রহ ছিল না। জীবন এবং মৃত্যু তাদের সামনে রেখে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই জীবন কামনা করেছিলেন, কিন্তু তা পাওয়ার জন্য কোনও প্রচেষ্টা করেননি। তারা জীবন বেছে নেননি, এবং এখন দোষীদের শুদ্ধ করার জন্য কোনও প্রায়শ্চিত্তের রক্ত ​​ছিল না, তাদের জন্য অনুরোধ করার জন্য কোনও করুণাময় ত্রাণকর্তা ছিলেন না এবং চিৎকার করেছিলেন, "পাপীকে আরও কিছুক্ষণ রেহাই দিন।" সমস্ত স্বর্গ যীশুর সাথে একত্রিত হয়েছিল, যখন তারা ভয়ঙ্কর কথাগুলি শুনেছিল, "এটি সম্পন্ন হয়েছে। এটি সম্পন্ন হয়েছে।" পরিত্রাণের পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছিল, কিন্তু খুব কম লোকই এটি গ্রহণ করতে বেছে নিয়েছিল। আর যখন করুণার মধুর কণ্ঠস্বর নিভে গেল, তখন ভয় ও আতঙ্ক দুষ্টদের গ্রাস করল। ভয়ানক স্পষ্টতার সাথে তারা এই কথাগুলো শুনতে পেল, “অনেক দেরি! অনেক দেরি!” {ইডব্লিউ ৫৪.২–৫৬.১}

সেই সময়, পবিত্র আত্মা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে যাবেন:

প্রবেশন শেষ হওয়ার পর শুরু হয় মহাসমস্যার সময়

যখন খ্রীষ্ট মানুষের পক্ষে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁর কাজ বন্ধ করবেন, তখন এই দুর্দশার সময় শুরু হবে। তখন প্রতিটি আত্মার বিচার শেষ হয়ে যাবে, এবং পাপ থেকে শুদ্ধ হওয়ার জন্য কোনও প্রায়শ্চিত্ত রক্ত ​​থাকবে না। যখন যীশু ঈশ্বরের সামনে মানুষের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁর পদ ত্যাগ করবেন, তখন গম্ভীর ঘোষণা করা হবে, “যে অন্যায়কারী, সে এখনও অন্যায়কারী থাকুক: এবং যে নোংরা, সে এখনও নোংরা থাকুক: এবং যে ধার্মিক, সে এখনও ধার্মিক থাকুক: এবং যে পবিত্র, সে এখনও পবিত্র থাকুক” (প্রকাশিত বাক্য ২২:১১)। তারপর ঈশ্বরের সংযত আত্মা পৃথিবী থেকে প্রত্যাহার করা হয়।--পিপি ২০১ (১৮৯০)। {এলডিই ২৩৮.৩}

যখন তিনি পবিত্র স্থান ত্যাগ করেন, তখন পৃথিবীর বাসিন্দাদের অন্ধকার ঢেকে ফেলে। সেই ভয়ঙ্কর সময়ে ধার্মিকদের একজন পবিত্র ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই বাস করতে হবে। দুষ্টদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা দূর করা হয়েছে, এবং শয়তানের চূড়ান্ত অনুতাপকারীদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ঈশ্বরের দীর্ঘসহিষ্ণুতা শেষ হয়েছে। পৃথিবী তাঁর করুণা প্রত্যাখ্যান করেছে, তাঁর প্রেমকে তুচ্ছ করেছে এবং তাঁর আইনকে পদদলিত করেছে। দুষ্টরা তাদের পরীক্ষার সীমা অতিক্রম করেছে; ঈশ্বরের আত্মা, যা ক্রমাগত প্রতিরোধ করা হয়েছিল, অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঐশ্বরিক অনুগ্রহের আশ্রয়হীন অবস্থায়, তাদের দুষ্টের হাত থেকে কোন সুরক্ষা নেই। শয়তান তখন পৃথিবীর বাসিন্দাদের এক বিরাট, চূড়ান্ত বিপদে নিমজ্জিত করবে। ঈশ্বরের দূতেরা যখন মানুষের আবেগের তীব্র বাতাসকে দমন করা বন্ধ করবে, তখন কলহের সমস্ত উপাদান মুক্ত হয়ে যাবে। পুরো পৃথিবী প্রাচীন জেরুজালেমের উপর যা ঘটেছিল তার চেয়েও ভয়াবহ ধ্বংসের সাথে জড়িত হবে। {GC 614.1}

অতএব, এই সময়ে পবিত্র আত্মাবিহীন পৃথিবীতে সাধুদের একজন মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই জীবনযাপন করতে হবে। কিন্তু এর অর্থ কি এই যে তাদের নিজেরাই আর পবিত্র আত্মা থাকবে না? না! প্রকৃতপক্ষে, তাদের পবিত্র আত্মা দ্বারা সীলমোহর করা হবে:

শীঘ্রই আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, যেন অনেক জলরাশি, যা আমাদের যীশুর আগমনের দিন এবং ঘন্টা জানিয়েছিল। জীবিত সাধুরা, সংখ্যায় ১৪৪,০০০, সেই কণ্ঠস্বর জানতেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন, যখন দুষ্টরা ভেবেছিলেন এটি বজ্রপাত এবং ভূমিকম্প। যখন ঈশ্বর সময় বললেন, তিনি আমাদের উপর পবিত্র আত্মা ঢেলে দিলেন, এবং আমাদের মুখমণ্ডল ঈশ্বরের মহিমায় উজ্জ্বল ও উজ্জ্বল হতে লাগল, যেমনটি মোশি সিনাই পর্বত থেকে নেমে আসার সময় করেছিলেন।

১,৪৪,০০০ জনকে সীলমোহর করা হয়েছিল এবং পুরোপুরি একত্রিত করা হয়েছিল। তাদের কপালে লেখা ছিল, ঈশ্বর, নতুন জেরুজালেম, এবং যীশুর নতুন নাম সম্বলিত একটি গৌরবময় তারা। {ইডব্লিউ ৫৪.২–৫৬.১}

প্রবন্ধে পিতার শক্তি, আমি দেখিয়েছি যে এই মুহূর্তে ১,৪৪,০০০ জন শেষ বৃষ্টি পাবে। কেবল তারাই পবিত্র আত্মার এই "অংশ" পায় যা তাদেরকে জ্ঞানী কুমারী করে তোলে যাদের প্রদীপে বরের জন্য অপেক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত তেল থাকে। এখন, শেষ এবং সত্যিকারের মধ্যরাতের ডাক শোনা যাচ্ছে, "বর আসছেন!" ১৮৪৪ সালে শুরু হওয়া মেষশাবকের বিবাহের প্রস্তুতি শীঘ্রই শেষ হবে এবং কনে তার স্বামীর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য শুদ্ধ হয়ে যাবে। এখন মহামারীর ভয়াবহ সময় এবং ঈশ্বরের ক্রোধের জন্য পবিত্র আত্মার জরুরি ব্যবস্থার বর্ষণের মুহূর্ত! যারা ওরিয়ন থেকে ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর বুঝতে পারে না তারা অন্ধকারে থাকবে, তাদের প্রদীপের জন্য তেল ছাড়াই।

মাত্র দুই সপ্তাহের মহামারী?

যেহেতু এই সময়টা এত ভয়াবহ হবে, অবশ্যই কেউ কেউ জানতে চাইবে যে এটি কতদিন স্থায়ী হবে। সম্ভবত আমি আপনাকে পরবর্তী কোনও প্রবন্ধে বলবো ঈশ্বরের ক্রোধ এবং শেষ সাতটি মহামারী আসলে কী, কারণ আমাদের সমস্ত গবেষণার জ্ঞানের ভিত্তিতে এটি এখন বোঝা যায়। এটি সত্যিই এত ভয়াবহ যে আমিও হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং যীশুর প্রতি আমার বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হয়েছিল কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে একেবারে অতিপ্রাকৃত সুরক্ষা ছাড়া কেউই বেঁচে থাকতে পারে না। আমাদের ঈশ্বর তাদের জন্য গ্রাসকারী আগুন যাদের কাছে তাঁর সীলমোহর এবং পবিত্র আত্মার এই জরুরি ব্যবস্থা নেই।

কিছু ভাই আমাকে লিখেছেন যে জার্মান "হোপ চ্যানেল" এর ওয়ার্নার রেঞ্জ সহ বিভিন্ন দেশের কিছু নেতা, কোনও প্রকৃত বাইবেলের ভিত্তি ছাড়াই বলছেন যে মহামারীর সময়কাল মাত্র ১৫ বা ৩০ দিন স্থায়ী হবে। এগুলিকে ইতিমধ্যেই "মিথ্যা শিক্ষা" হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে কারণ বাইবেল আমাদের মহামারীর প্রকৃত সময়কাল সম্পর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। প্রকাশিত বাক্যের ১৮ অধ্যায়ে আমাদের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সময়ের সময়কাল দেওয়া হয়েছে। নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ধ্বংস সম্পর্কে, যেখানে পোপের নেতৃত্বাধীন। এটি বলে:

অতএব, সে [মহান বাবিল] মহামারী একদিনেই আসেমৃত্যু, শোক, দুর্ভিক্ষ; এবং সে আগুনে সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে ফেলা হবে: কারণ প্রভু ঈশ্বর যিনি তার বিচার করবেন তিনি শক্তিশালী। (প্রকাশিত বাক্য ১৮:৮)

অথবা ষষ্ঠ সীলমোহরের পরে কী আসবে তার বর্ণনা সম্পর্কে কী বলা যায়?

জন্য তাঁর ক্রোধের মহান দিন এসেছে; আর কে দাঁড়াতে পারবে? (প্রকাশিত বাক্য ৬:১৭)

দিন-বছর নীতি অনুসারে, এটি আমাদের মহামারীর সময়কালের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়: এক বছর. কিন্তু আবারও, উপহাসকারীরা এসে দাবি করেন যে এলেন জি. হোয়াইট বলেছিলেন যে ১৮৪৪ সাল থেকে আর কোনও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সময় থাকবে না। কিন্তু এটি কেবল ১৮৪৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য বৈধ ছিল যতক্ষণ না শেষ বৃষ্টিপাত এবং চতুর্থ দেবদূতের আগমনের সময় (দেখুন)। পিতার শক্তি).

পুরাতন নিয়মের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বইগুলিতে কেন এই একই স্পেসিফিকেশন বারবার পাওয়া যায়, যেখানে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সময় অবশ্যই বৈধ ছিল?

বোঝা ব্যাবিলনের, যা আমোসের পুত্র যিশাইয় দেখেছিলেন। ... তোমরা কাঁদো; কারণ প্রভুর দিন এটা নিকটবর্তী; সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে ধ্বংসের মতো আসবে। ... দেখ, প্রভুর দিন তিনি আসছেন, নিষ্ঠুর, ক্রোধ ও প্রচণ্ড ক্রোধে, দেশকে জনশূন্য করতে; এবং সেখান থেকে পাপীদের ধ্বংস করবেন। কারণ আকাশের তারা এবং নক্ষত্রপুঞ্জ। [= H3285, Orion এর মতো একই শব্দ] সূর্য যখন উদিত হবে তখন অন্ধকার হয়ে যাবে, আর চাঁদ তার আলো দেবে না। (যিশাইয় ১৩:১; ৬; ৯-১০)

দয়া করে মনে রাখবেন যে যিশাইয় এখানে আবারও ওরিয়নের কথা উল্লেখ করেছেন এবং মহামারীর সময়ে এটি তার আলো দেবে না! দেশে একটি আধ্যাত্মিক ক্ষুধা রয়েছে যা মেটানো যায় না, এবং কাউকে আর বাঁচানো যায় না।

অথবা সফনিয় কী বলেন?

ঐ দিন ইহা একটি ক্রোধের দিন, এক দিন কষ্ট ও দুর্দশার, এক দিন অপচয় এবং জনশূন্যতার, এক দিন অন্ধকার আর বিষণ্ণতার, এক দিন মেঘ এবং ঘন অন্ধকারের মধ্যে, ... তাদের রূপা বা তাদের সোনা তাদের উদ্ধার করতে পারবে না প্রভুর ক্রোধের দিন; কিন্তু তার ঈর্ষার আগুনে সমগ্র দেশ গ্রাস করা হবে; কারণ সে দ্রুতই মুক্তি পাবে যারা দেশে বাস করে তারা সকলেই. (সফনিয় ১:১৫;১৮)

ইয়োবের পুস্তকে মোশি, তার বিলাপগ্রন্থে যিরমিয়, ৭ এবং ২২ অধ্যায়ে যিহিষ্কেল—এই সমস্ত মহান ভাববাদীরা জানতেন ঈশ্বরের ক্রোধের দিন, এবং এই বইগুলির ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য একদিনের বৈধ ব্যাখ্যা নীতি অনুসারে এটি এক বছর।

যিশাইয় এমনকি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন:

কারণ এটি দিনটি প্রভুর প্রতিশোধের, এবং বছর প্রতিদানের সিয়োনের বিবাদের জন্য। (যিশাইয় ৩৪:৮)

সময়ের ভবিষ্যদ্বাণীর যেকোনো অধ্যয়ন প্রত্যাখ্যান, যা ইতিমধ্যেই ধর্মান্ধতার সীমানা অতিক্রম করেছে, আমাদের সময়ের জন্য যীশুর যে মহান এবং গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে তা আমরা বুঝতে এবং সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি না। এটি ওয়ার্নার রেঞ্জের মতো শিক্ষকদের গির্জার সদস্যদের নিরাপত্তার মিথ্যা অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করার সুযোগ করে দেয়। যে বোন আমাকে লিখেছিলেন তিনি বলেছিলেন যে মাত্র 15 দিনের এত অল্প সময়ের জন্য তাকে খুব বেশি "প্রস্তুতি" নিতে হবে না। তিনি ওয়ার্নার রেঞ্জের একজন মনোযোগী শ্রোতা ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে "এটি এত খারাপ হবে না এবং কোনও ক্ষেত্রেই এটি মাত্র দুই সপ্তাহ সময় নেবে"। এটি তো দূরের কথা, যেমনটি আমাদের পবিত্র স্থানের বলিদানের অধ্যয়ন থেকে দেখা যাবে। যদি তিনি জানতে পারতেন তবে কেবল কিভাবে ঈশ্বর পৃথিবীকে ধ্বংস করবেন, সে সম্ভবত সাশা স্টাশ এবং চন্দ্র বিশ্রামবার পালনকারীদের কাছে ধর্মত্যাগ করত না। এই মিথ্যা শিক্ষকদের শীঘ্রই যীশুর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

অনেক দুষ্ট লোক যখন মহামারীর প্রভাব ভোগ করছিল তখন তারা অত্যন্ত ক্রোধে ভোগছিল। এটি ছিল এক ভয়াবহ যন্ত্রণার দৃশ্য। বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের, এবং ছেলেমেয়েরা তাদের বাবা-মাকে, ভাইয়েরা তাদের বোনদের এবং বোনেরা তাদের ভাইদের তীব্রভাবে তিরস্কার করছিল। সর্বত্র জোরে জোরে হাহাকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল, "তোমরাই আমাকে সেই সত্য গ্রহণ করতে বাধা দিয়েছিলে যা আমাকে এই ভয়াবহ সময় থেকে রক্ষা করত।" লোকেরা তীব্র ঘৃণায় তাদের পরিচারকদের উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং তাদের তিরস্কার করে বলল, "তুমি আমাদের সতর্ক করোনি। তুমি আমাদের বলেছিলে যে সমস্ত পৃথিবীকে ধর্মান্তরিত হতে হবে, এবং চিৎকার করে বলল, শান্তি, শান্তি, যেন সমস্ত ভয় জাগানো হয়। তুমি আমাদের এই সময় সম্পর্কে বলোনি; এবং যারা আমাদের সতর্ক করেছিল তাদের তুমি ধর্মান্ধ এবং দুষ্ট লোক বলে ঘোষণা করেছ, যারা আমাদের ধ্বংস করবে।" কিন্তু আমি দেখলাম যে পরিচারকরা ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে রেহাই পাননি। তাদের কষ্ট ছিল দশগুণ বেশি তাদের লোকেদের চেয়ে। - {EW 282.1}

আসলে, আমার মনে হয় এটা এত খারাপ নয় যে ভাইয়েরা বিশ্বাস করেন যে মহামারীর সময় মাত্র দুই সপ্তাহ হবে। শয়তানের কৌশল অন্য কোথাও। ওয়ার্নার রেঞ্জ যখন অস্ট্রিয়ায় এই মহিলার টেবিলের সামনে তার "শেষ দিনের মানচিত্র" ঘোষণা করেছিলেন, তখন তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে এটি ওরিয়নের ধর্মদ্রোহিতার সাথে খাপ খায় না এবং তাই, ওরিয়নের বার্তা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসতে পারে না। আর এখানেই আমাদের আসল সমস্যা! তাদের কাছে যে সামান্য আলো আছে তা তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় যারা ভুলভাবে অধ্যয়ন করে, এবং তারপরে তারা আরও বড় ভুল করে। শয়তানের ইচ্ছা হলো আমরা যেন ঈশ্বরের প্রকৃত বার্তাগুলিকে প্রত্যাখ্যান করি, যা আমাদেরকে এই মহাদুর্দশার সময় টিকিয়ে রাখবে, এবং তাই আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।

ইষ্টেরের প্রতিবেদন আমাদের আরেকটি ইঙ্গিত দেয় যে মহামারীগুলি এক বছর স্থায়ী হবে।

যখন হামান দেখল যে মর্দখয় মাথা নত করে না, তাকে শ্রদ্ধা করে না, তখন হামান রেগে গেল। আর কেবল মর্দখয়ের উপর হাত তোলা তার কাছে লজ্জার মনে হল, কারণ তারা তাকে মর্দখয়ের লোকদের কথা জানিয়েছিল। তাই হামান অহশ্বেরশের সমগ্র রাজ্যের সমস্ত ইহুদীদের, এমনকি মর্দখয়ের লোকদেরও ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল।. প্রথম মাসেঅর্থাৎ, রাজা অহশ্বেরশের দ্বাদশ বছরের নিশান মাসে, তারা হামনের সামনে প্রতিদিন, এবং মাস থেকে মাস, দ্বাদশ মাস, অর্থাৎ অদর মাস পর্যন্ত পূর, অর্থাৎ গুলিবাঁট করল।(ইষ্টের ৩:৫-৭)

হামানের দ্বারা সমস্ত ইহুদিদের পরিকল্পিত নির্মূল করা হল এক ধরণের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ যা ঈশ্বরের লোকেদের বিরুদ্ধে জারি করা হবে যারা বিশ্রামবার পালন করে। সিদ্ধান্ত থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পর্যন্ত সময়কাল প্রায় এক বছর। প্রথম মাসে গুলিবাঁট করা হয়েছিল এবং দ্বাদশ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পড়েছিল।

এলেন জি. হোয়াইট এই বাইবেলের ঘটনাটিকে প্লেগের সময়ের সাথে সংযুক্ত করেছেন:

তাদের ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত দিনে, “যিহূদীরা অহশ্বেরশ রাজার সমস্ত প্রদেশে তাদের নগরে একত্র হল, যেন তাদের ক্ষতি করতে চেয়েছিল এমন লোকদের উপর হস্তক্ষেপ করে; কিন্তু কেউ তাদের প্রতিরোধ করতে পারল না; কারণ তাদের ভয় সকলের উপর পড়েছিল।” ঈশ্বরের দ্বারা শক্তিতে শ্রেষ্ঠ দূতদের তাঁর লোকেদের রক্ষা করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল, যখন তারা “তাদের জীবনের জন্য দাঁড়ায়”। ইষ্টের ৯:২, ১৬.

মর্দখয়কে পূর্বে হামানের অধিষ্ঠিত সম্মানের পদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি "রাজা অহশ্বেরশের পরেই ছিলেন, ইহুদিদের মধ্যে মহান ছিলেন এবং তাঁর ভাইদের মধ্যে সমাদৃত ছিলেন" (ইষ্টের ১০:৩); এবং তিনি ইস্রায়েলের কল্যাণকে উন্নীত করার চেষ্টা করেছিলেন। এইভাবে ঈশ্বর তাঁর নির্বাচিত লোকদের আবারও মাদো-পারসিক রাজদরবারে অনুগ্রহের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন, তাদের নিজস্ব দেশে ফিরিয়ে আনার তাঁর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব করে তুলেছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর পরে, মহান জার্কসেসের উত্তরসূরী প্রথম অর্তক্ষস্তের সপ্তম বছরে, এষ্রার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক জেরুজালেমে ফিরে আসেন।

ইষ্টেরের সময়ে ঈশ্বরের লোকেদের যে কঠিন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা কেবল সেই যুগের জন্যই বিশেষ ছিল না। প্রকাশক, শেষ যুগের দিকে তাকিয়ে, ঘোষণা করেছেন, "ড্রাগন নারীর উপর ক্রুদ্ধ হয়েছিল, এবং তার বংশের অবশিষ্টাংশের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল, যারা ঈশ্বরের আদেশ পালন করে এবং যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষ্য ধারণ করে।" উদ্ঘাটন 12: 17 আজ পৃথিবীতে বসবাসকারী কিছু ব্যক্তি এই কথাগুলি পরিপূর্ণ হতে দেখবেন। অতীতে যে মনোভাব মানুষকে প্রকৃত গির্জার উপর অত্যাচার চালাতে পরিচালিত করেছিল, ভবিষ্যতেও সেই একই মনোভাব ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার জন্য তাদের প্রতি একই রকম পথ অনুসরণ করবে। এমনকি এখনই এই শেষ মহাসংঘাতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ঈশ্বরের অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে অবশেষে যে আদেশ জারি হবে ইহুদিদের বিরুদ্ধে অহশ্বেরশের জারি করা আদেশের অনুরূপ হবে. আজকে সত্যিকারের গির্জার শত্রুরা বিশ্রামবারের আজ্ঞা পালনকারী ছোট্ট দলটির মধ্যে দরজায় একজন মর্দখয়কে দেখতে পাচ্ছে। ঈশ্বরের লোকেদের তাঁর আইনের প্রতি শ্রদ্ধা তাদের জন্য একটি অবিরাম তিরস্কার যারা প্রভুর ভয় ত্যাগ করেছে এবং তাঁর বিশ্রামবারকে পদদলিত করছে।

শয়তান সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রোধ জাগিয়ে তুলবে যারা জনপ্রিয় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য মেনে নিতে অস্বীকার করে। পদমর্যাদা এবং খ্যাতির অধিকারী ব্যক্তিরা অনাচারী এবং নীচদের সাথে যোগ দিয়ে ঈশ্বরের লোকদের বিরুদ্ধে পরামর্শ করবে। সম্পদ, প্রতিভা, শিক্ষা একত্রিত হয়ে তাদের অবজ্ঞার আবরণে ঢেকে দেবে। নিপীড়নকারী শাসক, মন্ত্রী এবং গির্জার সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে। কণ্ঠস্বর এবং কলম দিয়ে, গর্ব, হুমকি এবং উপহাসের মাধ্যমে তারা তাদের বিশ্বাসকে উৎখাত করার চেষ্টা করবে। মিথ্যা উপস্থাপনা এবং ক্রোধের আবেদনের মাধ্যমে, মানুষ মানুষের আবেগকে উত্তেজিত করবে। বাইবেলের বিশ্রামবারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে "শাস্ত্র এইভাবে বলে" না থাকার কারণে, তারা অভাব পূরণের জন্য নিপীড়ক আইন প্রয়োগ করবে। জনপ্রিয়তা এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করার জন্য, আইন প্রণেতারা রবিবারের আইনের দাবির কাছে নতি স্বীকার করবে। কিন্তু যারা ঈশ্বরকে ভয় করে, তারা এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে মেনে নিতে পারে না যা ডিকালগের একটি নীতি লঙ্ঘন করে। এই যুদ্ধক্ষেত্রে সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে বিরোধের শেষ মহা সংঘাত লঙ্ঘিত হবে। এবং আমরা এই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহে থাকি না। আজ, ইষ্টের এবং মর্দখয়ের দিনের মতো, প্রভু তাঁর সত্য এবং তাঁর লোকেদের প্রতিপাদন করবেন। {পিকে ৬০২.২–৬05.3}

মহামারী "এক বছরে" আসে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার প্রায় ১২ মাস আগে থেকেই কার্যকর থাকবে। কিন্তু "বছর" বলতে ঠিক কত দিন বোঝায়? ইহুদি বছরে ১২টি চন্দ্র মাস ছিল, এবং কখনও কখনও যদি একটি অধিবর্ষের প্রয়োজন হয় তবে ১৩টিও ছিল। অর্থাৎ ৩৬০ বা ৩৯০ দিন। নাকি এটি সৌরবর্ষ সম্পর্কে? অর্থাৎ ৩৬৫ দিন হবে।

আর যীশুর আমাদের কাছে সাত দিনের যাত্রা আমরা কীভাবে গণনা করব?

১,৪৪,০০০ জন চিৎকার করে বলল, "আল্লেলুইয়া!" যখন তারা তাদের বন্ধুদের চিনতে পারল যারা মৃত্যু তাদের কাছ থেকে ছিঁড়ে ফেলেছিল, এবং একই মুহূর্তে আমরা পরিবর্তিত হয়ে গেলাম এবং তাদের সাথে বাতাসে প্রভুর সাথে দেখা করার জন্য ধরা পড়লাম।

আমরা সবাই একসাথে মেঘের মধ্যে প্রবেশ করলাম, এবং ছিলাম সাত দিন কাঁচের সমুদ্রে আরোহণ, যখন যীশু মুকুটগুলি এনেছিলেন, এবং তাঁর নিজের ডান হাত দিয়ে আমাদের মাথায় রেখেছিলেন। {ইডব্লিউ ৫৪.২–৫৬.১}

যদি যীশুর সাথে কাঁচের সমুদ্রে ফিরে যাওয়ার যাত্রা সাত দিন সময় নেয়, তাহলে আমাদের নিয়ে আসার জন্য স্বর্গদূতদের সাথে যীশুর যাত্রাও সাত দিন সময় নেবে। আমাদের কি বছর থেকে তাদের বিয়োগ করতে হবে নাকি যোগ করতে হবে? আমরা কীভাবে জানব? এটা বাইবেলে নেই, তাই না? আর কে জানে, হয়তো ওয়ার্নার রেঞ্জ ঠিকই বলেছেন? সবকিছুই একটু অস্পষ্ট, তাই না?

এখন আমরা বাইবেলের প্রমাণ পাব যে ওয়ার্নার রেঞ্জ ভুল, সেই সাথে আরও অনেকেরও যারা এই ব্যান্ডওয়াগনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি নিশ্চিত নই যে ওয়াল্টার ভেইথ তার নতুন বক্তৃতা সিরিজে প্রেরিত পৌলের সাথে রোমে জাহাজ সম্পর্কে কথা বলার সময় কী বলতে চেয়েছিলেন, ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে প্রেরিত 14:27 পদের 27 রাত সম্ভবত এই শেষবারের জন্য খুব "সাধারণ"। আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল যে তিনি মহামারীর সময় সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেননি। আমি কেবল আশা করি তিনি রেঞ্জের ভুলের কাছে নতি স্বীকার করবেন না, কারণ এখন আমরা পূর্ববর্তী সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাব এবং দেখব যে মহামারীর বছরে ঠিক কত দিন থাকবে এবং সাত দিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নাকি বাদ দেওয়া হয়েছে।

শরৎকালীন ব্যবস্থার হিসাব

সপ্তম মাসের প্রথম দিনে তূরী বাজানোর উৎসবের মাধ্যমে শরৎ উৎসব শুরু হয়েছিল। এখানে, শুরুতেই আমাদের একটু সমস্যা আছে। আমাদের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে অমাবস্যা উৎসবের বলিদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে কিনা। আমাদের বর্তমান জ্ঞানের অবস্থা বিবেচনা করে এর উত্তর দেওয়া কঠিন। ফলাফল দেখার পর, এটি সহজেই বোঝা যাবে যে এবার অমাবস্যা উৎসবের বলিদান গণনা করা হচ্ছে না, এবং আমরা ছায়া সিরিজের তৃতীয় অংশ থেকেও জানতে পারব (যেখানে ফলাফল আবার নিশ্চিত করা হবে)।

তবে বাইবেলের পাঠ এবং উৎসবের যুক্তি থেকেও এটি উপসংহারে আসা যেতে পারে। প্রথম মাসের অমাবস্যার বলিদানও গণনা করা হত না। তবে, তূরী বাজনার উৎসবের মতো একই দিনে ছিল না। ইহুদিদের চিন্তাভাবনা অনুসারে, মাসের শুরু প্রথমে সনাক্ত করতে হত এবং তারপরে উৎসব শুরু করা যেত। অতএব, অমাবস্যার বলিদান যুক্তিসঙ্গতভাবে শরৎ উৎসবের প্রথম উৎসবের আগে সংঘটিত হত। শরৎ উৎসবগুলি তখনও অমাবস্যায় শুরু হয়নি, তবে কেবল তূরী বাজনার উৎসবের প্রথম নৈবেদ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। এই কারণেই "বলিদানের ছায়া" এর প্রথম অংশে আমি উৎসর্গগুলিকে উৎসবের "মূল সময়ে" বিবেচনা করা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছি।

এছাড়াও, বাইবেলের পাঠ্যাংশ আমাদের ঠিক বলে দেয় যে উৎসবের বলিদানের অংশ কী ছিল এবং কী ছিল না। দয়া করে আবার সবকিছু পড়ুন। বসন্ত উৎসবগুলিতে, আমরা সর্বদা খুঁজে পেতাম যে কী ছিল ছাঁটা নির্দেশাবলীতে উৎসবের নৈবেদ্য থেকে:

1. খামিরবিহীন রুটির পর্বের সাত দিন: পরে এইভাবে তোমরা সাত দিন ধরে প্রতিদিন আগুনে তৈরি বলির মাংস উৎসর্গ করবে, যার সুগন্ধ সদাপ্রভুকে খুশী করবে। পাশে নিত্য হোমবলি এবং তার পেয় নৈবেদ্য. (সংখ্যা 28:24)

2. সপ্তাহের উৎসব (পঞ্চাশতম): তুমি তাদের অর্পণ করবে পাশে নিত্য হোমবলি এবং তার সাথে শস্য নৈবেদ্য (এগুলো তোমার জন্য নির্দোষ হবে) এবং তাদের সাথে পেয় নৈবেদ্যও।. (সংখ্যা 28:31)

3. নিস্তারপর্বের উৎসব এবং প্রথম ফসল দোলানোর উৎসবের জন্য, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে নৈবেদ্য (নিস্তারপর্বের মেষশাবক এবং প্রথম ফলের আঁটি) কেবল এই উৎসবগুলির জন্যই বৈধ ছিল।

বাইবেলের পাঠ্যাংশে তূরী বাজনার উৎসবের (এবং পরবর্তী সমস্ত শরৎ উৎসবের জন্য) বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কোন নৈবেদ্য উৎসবের অন্তর্ভুক্ত এবং কোনটি নয়। তূরী বাজনার উৎসবের জন্য, আমরা একমাত্র একক পাঠ্যাংশ পাই, যেখানে অমাবস্যার বলিদান স্পষ্টভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে:

মাসের হোমবলি এবং তার শস্য নৈবেদ্য ছাড়াও, এবং প্রতিদিনের হোমবলি, তার শস্য নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যতাদের রীতি অনুসারে, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে সুগন্ধযুক্ত অগ্নিকৃত বলিদানের জন্য। (গণনাপুস্তক ২৯:৬)

তবে, পেন্টেকস্টের অপেক্ষার সময়ের মধ্যে অমাবস্যা উৎসব "বসন্ত উৎসবের মূল সময়কালের" মধ্যে পড়ে এবং বাইবেলের পাঠ্য দ্বারা এটি বাদ দেওয়া হয়নি এবং গণনা করা আবশ্যক।

মিলারের মধ্যরাতের ডাকের প্রতীক, ট্রাম্পেটস উৎসব থেকে শুরু হওয়া শরৎকালীন উৎসবের জন্য সমস্ত উৎসবের নৈবেদ্যের তালিকা নিম্নলিখিত চার্টে দেওয়া হল:

এর পরে বছরের সর্বোচ্চ ছুটির দিন, ইয়োম কিপ্পুর, যা প্রায়শ্চিত্তের দিন, যা স্বর্গীয় বিচারের দিনের প্রতীক, আমাদের অ্যাডভেন্টিস্ট ইতিহাসে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু দ্বিতীয় দেবদূত প্রথম দেবদূতের সাথে যোগ দিয়েছিলেন, তাই আমরা জানি যে এটি 22 অক্টোবর, 1844 সালে শুরু হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ অ্যাডভেন্টিস্টদের জ্ঞানের বাইরে যে এই বিচারের দিনটি শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে:

এরপর সাত দিন ধরে কুঁড়েঘরের উৎসব পালিত হল। "বলিদানের ছায়া" বইয়ের প্রথম অংশে আমি এর অর্থ বর্ণনা করেছি: ১৮৯০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১২০ বছর ধরে প্রান্তরে আমাদের ঘুরে বেড়ানো। হঠাৎ করেই, ষাঁড় এবং মেষশাবকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেল:

অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে প্রতিটি উৎসবের দিনে ষাঁড়ের সংখ্যা একটি করে পশু হ্রাস পায়, যেখানে ভেড়া এবং মেষশাবকের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে:

কুঁড়েঘরের উৎসবের সাত দিনে আমরা খুব সুন্দর একটা সামঞ্জস্য খুঁজে পাই। আমরা একটা ঐশ্বরিক গণনার মতো কিছু খুঁজে পাই। ১৩টি ষাঁড় দিয়ে শুরু করে, প্রতিটি উৎসবের দিনে ষাঁড়ের সংখ্যা এক করে কমতে থাকে, যতক্ষণ না পূর্ণতার সংখ্যা ৭-এ পৌঁছায়। এলেন জি. হোয়াইট এটিকে এভাবে বলেন:

পিতর, যেমনটি তিনি ধারণা করেছিলেন, খ্রীষ্টের শিক্ষা বাস্তবায়ন করে, এটিকে প্রসারিত করার কথা ভেবেছিলেন সাত, সংখ্যাটি পরিপূর্ণতা নির্দেশ করে। কিন্তু খ্রীষ্ট শিক্ষা দিয়েছিলেন যে আমাদের কখনই ক্ষমা করতে ক্লান্ত হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেছিলেন, "সাত বার পর্যন্ত নয়, বরং সত্তর বার সাত বার পর্যন্ত।" {COL 243.1}

একই মুহূর্তে, বলিদান করা পশুর মোট সংখ্যা ৩০ থেকে কমে ২৪-এ নেমে আসে। ২৪ হল ঈশ্বর মানবজাতির সাথে যে দুটি চুক্তি করেছিলেন তার সংখ্যা। প্রাচীন ইস্রায়েলের ১২টি বংশ এবং আত্মিক ইস্রায়েলের ১২টি বংশ, যার থেকে ১,৪৪,০০০ জন অবশিষ্টাংশ হবে (প্রকাশিত বাক্য ৭:৪-৮ দেখুন)।

এটা কি ঈশ্বরের ওরিয়ন ঘড়ির মূল সূত্র, "৭ গুণ ২৪"-এর আরেকটি উল্লেখ নয়? এটা কি হতে পারে যে ঈশ্বর সর্বদা তাঁর গির্জার একটি নির্দিষ্ট শুদ্ধিকরণ পর্যায়ের দিকে ইঙ্গিত করতে চান যার মধ্যে ২৪ বছরের ৭টি সময়কাল রয়েছে? এটা কি সম্ভব যে আমরা ওরিয়নে কিছু উপেক্ষা করেছি, অথবা উৎসবের ধরণগুলিতে এখনও কিছু অতিরিক্ত আছে যা আমরা এখনও আবিষ্কার করতে পারিনি কারণ ওরিয়ন ঘড়ি ২৪ বছরের সময়কাল প্রদর্শন করে না?

তাঁবু উৎসবের শেষ দিন, "শেমিনি আটজেরেট" এর সাথে, শরতের উৎসবগুলি শেষ হয়, এবং আমরা আবার তূরী উৎসব এবং প্রায়শ্চিত্তের দিনে আগের মতো একই সংখ্যা দেখতে পাই:

আমাদের যা করার বাকি আছে, তা হল শরৎ উৎসবের সমস্ত নৈবেদ্যর সারসংক্ষেপ করা, যেমনটি আমরা ইতিমধ্যে বসন্ত উৎসবের জন্য করেছি:

আর আমরা ১/১০ এফা মিহি ময়দার ৩৭২টি পরিবেশন পাই। এই পরিমাণ দিয়ে, আমরা "পবিত্র আত্মা" মিশ্রিত ৩৭২টি রুটি সেঁকে নিতে পারি। যদি আমরা আগের মতো এই পরিমাণকে দৈনিক ৩টি রুটি দিয়ে ভাগ করি, তাহলে আমরা ৩৭২ ÷ ৩ = ১২৪ পাব। অতএব, "মহামারীর বছর" ৪ মাসেরও বেশি সময় নেবে? এটা কি ঠিক?

অবশ্যই না! আবারও, আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভুলে গেছি।

আসুন আমরা প্রথম অংশের দৈনিক রেশনের তালিকাটি মনে রাখি ত্যাগের ছায়া:

রেশনের মধ্যে ছিল জনগণের জন্য বলিদান (প্রতিদিন ২/১০) এবং পুরোহিতদের জন্য বলিদান (প্রতিদিন ১/১০)। এবং প্রেরিতদের সময়ে যখন যীশু সবেমাত্র পুনরুত্থিত হয়েছিলেন, তখন এটি প্রয়োগ করা বেশ সঠিক ছিল, কারণ ইহুদি জনগণের জন্য পরীক্ষা এখনও বন্ধ হয়নি। সত্তর সপ্তাহের ভবিষ্যদ্বাণী আমাদের বলেছিল যে মশীহকে সত্তরতম সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে হত্যা করা হবে:

আর বাষট্টি সপ্তাহ পরে মশীহকে উচ্ছেদ করা হবে, কিন্তু নিজের জন্য নয়: ... এবং তিনি এক সপ্তাহের জন্য অনেকের সাথে চুক্তিটি নিশ্চিত করবেন: এবং সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে সে বলিদান এবং নৈবেদ্য বন্ধ করবে... (ড্যানিয়েল 9:26-27)

অ্যাডভেন্টিস্টদের সাধারণ জ্ঞান হলো, ইহুদি জনগণের জন্য এই অনুগ্রহকাল সাড়ে ৩ বছর ধরে চলেছিল, যতক্ষণ না ৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইহুদিরা স্টিফেনকে পাথর মেরে ফেলে। অতএব, জনগণ এবং পুরোহিতদের জন্য প্রতিদিনের বলিদানের যোগফল ছিল বসন্ত উৎসবের দৈনিক জরুরি রেশনের পরিমাপ, যেমন পেন্টেকস্ট এবং প্রাথমিক বৃষ্টিপাতের অপেক্ষার সময়।

কিন্তু ইতিহাসের শেষের দিকে মহামারীর সময় সম্পর্কে কী বলা যায়? এখানে—যেমন আগে দেখানো হয়েছে—পরীক্ষা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। মানবজাতির মুক্তির দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। ঈশ্বরের “পুরোহিতদের” একটি ছোট দল, অর্থাৎ ১,৪৪,০০০, এই সময়কাল টিকে থাকবে, ঈশ্বরের করুণায় টিকে থাকবে এবং একটি যাজকীয় পবিত্র আত্মার জরুরি সরবরাহ:

এখন, যদি তোমরা সত্যিই আমার কথা শোন এবং আমার চুক্তি পালন করো, তাহলে তোমরা সকল জাতির মধ্যে আমার নিজস্ব সম্পদ হবে; কারণ সমস্ত পৃথিবী আমার; আর তোমরা আমার হবে। একটি রাজ্য পুরোহিত, এবং একটি পবিত্র জাতি। ইস্রায়েল সন্তানদের তুমি এই কথাগুলো বলবে। (যাত্রাপুস্তক ১৯:৫-৬)

পবিত্র স্থানের শুদ্ধিকরণ সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই ঈশ্বরের একটি পবিত্র জাতি থাকবে, যাকে একটি যাজকীয় মানুষ। কেবল তাদেরই সীলমোহর করা হবে, কেবল তাদের জন্য পবিত্র আত্মার এই নির্দিষ্ট অংশ, এবং কেবল তাদের মধ্যেই সান্ত্বনাদাতা বাস করতে পারেন, কারণ কেবলমাত্র তারাই ঐশ্বরিক পরিষদের তৃতীয় ব্যক্তির অভ্যর্থনার জন্য বিশুদ্ধ পাত্র হবে। ইতিহাসের শেষে ১৪৪,০০০ জনের এই বিশেষ লোকদের জন্য দৈনিক রেশনের প্রতীক হল এক এফার ১/১০ অংশ, অথবা প্রতিদিন এক রুটি, সকালে ১/২০, সন্ধ্যায় ১/২০। এই ভয়াবহ সময়ে বেঁচে থাকার জন্য তাদের আর বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই, কারণ তারা ইতিমধ্যেই পবিত্রতার একটি নির্দিষ্ট স্তর অর্জন করেছে।

অতএব, পর্যাপ্ত জরুরি সরবরাহের মোট সময়কাল গণনার সূত্রটি হল:

৩৭২টি রুটি ÷ প্রতিদিন ১টি রুটি = ৩৭২ দিন

আর এখন আমাদের আগের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব সহজ হয়ে গেছে।

1. প্লেগের বছরটি ঠিক কতদিন স্থায়ী হবে? উত্তর: এক সৌর বছরের জন্য “আর ঈশ্বর বললেন, আকাশমণ্ডলের আকাশে আলো থাকুক, রাত্রি থেকে দিনকে আলাদা করার জন্য; এবং সেগুলো থাকুক লক্ষণের জন্য, এবং ঋতুর জন্য, এবং কয়েকদিন ধরে, এবং বছর: আর পৃথিবীতে আলো দেওয়ার জন্য আকাশের আকাশে সেগুলো আলোর জন্য থাকুক: আর তাই হল। আর ঈশ্বর তৈরি করেছেন দুটি দুর্দান্ত আলো; দিন শাসন করার জন্য বৃহত্তর আলো, এবং রাতের উপর রাজত্ব করার জন্য ক্ষুদ্র আলো: তিনি তারাগুলিও তৈরি করেছেন।" (আদিপুস্তক ১:১৪-১৬)  একটি সৌর বছর গড়ে ৩৬৫ দিন স্থায়ী হয়। এবং এটি ঠিক শেষ তিনটি সীলমোহরের পরের দিনের (এক বছরের জন্য) সাথে মিলে যায়, যেমনটি ওরিয়ন দ্বারা নির্দেশিত।

2. যদি আমরা এই বছর আমাদের মোট ৩৭২টি রুটি রেশন থেকে বিয়োগ করি, তাহলে আমাদের ৩৭২ দিন হবে - ৩৬৫ দিন = 7 দিন। মহামারী শুরু হওয়ার আগে, নূহ এবং তার জাহাজের মডেল অনুসারে রহমতের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৭ দিন আগেএমনকি মহামারীর জন্য অপেক্ষা করার সেই ৭ দিন পরেও, ১,৪৪,০০০ জন এখনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা অথবা পর্যাপ্ত পবিত্র আত্মা পাবেন যা এই পরিস্থিতির সাথে তাল মেলাতে পারবে। সমগ্র মানবজাতির জন্য পরীক্ষার পর পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে যাবে।

অতএব, সীলমোহরকৃত ১,৪৪,০০০ জনের কাছে মহামারীর বছরের জন্য মোট ৩৭২ ইউনিট রুটির মজুদ থাকবে। বাইবেলে উল্লেখিত মোট সময়কাল হবে ... শেষ তিনটি সীলমোহরের ৩৬৫ দিন পরে, যা ২০১৫ সালের শরৎ থেকে শুরু হবে, এবং নোহের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক অপেক্ষার দিনগুলির জন্য সাত দিন।

ঈশ্বর নিখুঁত এবং তাঁর গণিত এবং তিনি আমাদের যে ধরণের জিনিস দিয়েছেন তাও নিখুঁত। এবং আমরা পবিত্র আত্মার সাথে বা ছাড়াই এই বিষয়গুলি অধ্যয়ন করি তাতে বড় পার্থক্য তৈরি হয়। ২০১০ সালের আগে, এই বিস্ময়কর অন্তর্দৃষ্টিগুলি আমাদের চোখ থেকে লুকানো ছিল, এবং প্রতিটি অ্যাডভেন্টিস্ট শিক্ষক যদি আগে ভুল করতেন তবে তা ক্ষমাযোগ্য। তবে, যে কেউ এখন এই সুরেলা অধ্যয়নগুলিকে একগুঁয়েভাবে প্রত্যাখ্যান করে, কেবল এই কারণে যে সে ভুল ছিল তা স্বীকার করতে চায় না, সে তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে ঈশ্বরের দশগুণ ক্রোধ পাবে, কারণ সে অন্যদেরও সন্দেহ করতে প্ররোচিত করে এবং তার কারণে তারা পড়ে যায়।

ঈশ্বরের নিঃশ্বাস

প্রথম অংশে আমি যেমন সংক্ষেপে উল্লেখ করেছিলাম, "বলিদানের ছায়া"-র এই দ্বিতীয় এবং শেষ অংশের শেষে আমাদের এখনও একটি নির্দিষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে যা আমাদের এখনই সমাধান করা উচিত। যীশু ক্রুশে তাঁর মৃত্যুর সাথে সমস্ত বলিদান বাতিল করে দিয়েছিলেন। অবশ্যই, এগুলি কেবল ছায়া, রূপ এবং ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, তবে তবুও, যুক্তি এবং টাইপোলজি পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। যীশু তাঁর সমস্ত কাজ এবং কথার ক্ষেত্রে সর্বদা সঠিক, এবং সবকিছুই নিখুঁত সামঞ্জস্যপূর্ণ।

তাহলে কীভাবে সম্ভব হয়েছিল যে প্রেরিতরা পবিত্র আত্মার তাদের অংশ পেয়েছিলেন যা তাদেরকে সান্ত্বনাদাতার আগমন পর্যন্ত স্থির থাকতে সক্ষম করবে, যখন বসন্ত উৎসবের প্রথম দিন, নিস্তারপর্বের দিনে সমস্ত বলিদান ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছিল? বলিদানের রক্ত ​​আর বৈধ ছিল না। এবং যীশু স্বর্গীয় পবিত্র স্থানে তাঁর সেবা শুরু করেননি। ১৫০০ বছর ধরে, বলিদানগুলি পবিত্র আত্মার একটি নির্দিষ্ট অংশের দিকে ইঙ্গিত করেছিল যা ৩১ খ্রিস্টাব্দে প্রয়োজন হবে, এবং ঠিক সেই ৩১ খ্রিস্টাব্দেই, বলিদানগুলি বাতিল করা হয়েছিল এবং পঞ্চাশত্তমীর আগে মধ্যস্থতাকারী সেবা শুরু হয়নি। অন্য কিছু হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু কী?

আমরা পড়েছি যখন পবিত্র আত্মা অনুপস্থিত থাকে তখন কী ঘটে। হতাশা রাজত্ব করে। আর যীশু যখন কবরে শুয়ে ছিলেন তখন প্রেরিতদের ক্ষেত্রে ঠিক এটাই ঘটেছিল।

যীশু তাঁর শিষ্যদের কাছে ভবিষ্যৎ খুলে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা তাঁর কথাগুলো নিয়ে চিন্তা করার পরও চিন্তা করেনি। এই কারণে তাঁর মৃত্যু তাদের কাছে আশ্চর্যজনকভাবে এসেছিল; এবং পরে, যখন তারা অতীত পর্যালোচনা করেছিল এবং তাদের অবিশ্বাসের পরিণতি দেখেছিল, তখন তারা দুঃখে ভরে গিয়েছিল। যখন খ্রীষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন তারা বিশ্বাস করেনি যে তিনি পুনরুত্থিত হবেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে তিনি তৃতীয় দিনে পুনরুত্থিত হবেন, কিন্তু তারা হতবাক তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা জানার জন্য। এই বোধগম্যতার অভাব তাঁর মৃত্যুর সময় তিনি সেগুলো রেখে গেছেন সম্পূর্ণ হতাশা। তারা ছিল তাদের বিশ্বাস ছায়ার বাইরে প্রবেশ করতে পারেনি। শয়তান তাদের দিগন্তকে বিপথগামী করে ফেলেছে। সবকিছুই মনে হচ্ছিল অস্পষ্ট এবং রহস্যময় তাদের কাছে। যদি তারা ত্রাণকর্তার কথা বিশ্বাস করত, তাহলে কতটা দু: খ তারা হয়তো রেহাই পেত!

চূর্ণবিচূর্ণ হতাশা, শোক, আর হতাশা শিষ্যরা উপরের ঘরে একত্রিত হয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন, ভয়ে যাতে তাদের প্রিয় শিক্ষকের ভাগ্য তাদের হয়। এখানেই ত্রাণকর্তা, তাঁর পুনরুত্থানের পর, তাদের কাছে আবির্ভূত হয়েছিলেন। {এএ ৯৯.২–১০০.১}

যদি সান্ত্বনাদাতা অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে বিভ্রান্তি, বোধগম্যতার অভাব এবং চরম হতাশা আসে। সবকিছুই অস্পষ্ট এবং রহস্যময় বলে মনে হয়। দুঃখ, হতাশা, যন্ত্রণা এবং ভয় আধ্যাত্মিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।

পবিত্র আত্মা যখন আমাদের মধ্যে বাস করেন তখন পরিস্থিতি বিপরীত হয়। তিনি আমাদের সমস্ত সত্যের দিকে পরিচালিত করেন, স্পষ্টতা দেন, যন্ত্রণা উপশম করেন, বিশ্বাসের মাধ্যমে ভয় দূর করেন এবং আমাদের দুঃখ, যন্ত্রণা এবং হতাশায় ডুবে যেতে দেন না।

যীশুর পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত শিষ্যদের কাছে এই অংশটি অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু কেবল যীশুর উপস্থিতিই কি তাদের এই হতাশার অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছিল? না, অন্য কিছু ছিল। পবিত্র আত্মার বর্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষার সময়ের জন্য জরুরি রেশনের প্রতিস্থাপন অনুসন্ধান করার সময় আমাদের বাইবেলের বিবরণটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যোহনের সুসমাচারে আমরা এটি খুঁজে পাব। প্রভু পুনরুত্থিত হওয়ার পর, তিনি উপরের ঘরে শিষ্যদের কাছে আবির্ভূত হয়েছিলেন:

তারপর সেই দিন সন্ধ্যাবেলায়, সপ্তাহের প্রথম দিন, যখন শিষ্যরা যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন, ইহুদিদের ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন যীশু এসে তাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বললেন, তোমাদের শান্তি হোক। ... তারপর যীশু আবার তাদের বললেন, তোমাদের শান্তি হোক: আমার পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন, আমিও তেমনি তোমাদের পাঠাচ্ছি। আর যখন তিনি এই কথা বললেন, তিনি তাদের উপর ফুঁ দিলেন এবং বললেন, তোমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করো।: (যোহন ২০:১৯,২১-২২)

অনেকেই এই দৃশ্যের সঠিক অর্থ বুঝতে পারেনি। যদি প্রভু আরও ৫০ দিনের মধ্যে পবিত্র আত্মাকে সান্ত্বনাদাতা হিসেবে পাঠাতেন, তাহলে কেন তিনি তাঁর পুনরুত্থানের সময় প্রেরিতদের উপর ফুঁ দিয়েছিলেন এবং তাদের পবিত্র আত্মা দিয়েছিলেন? কিন্তু এখন, জরুরি খাদ্যের অধ্যয়নের পর, এই সবকিছুই আমাদের চোখের সামনে স্পষ্ট। অপেক্ষার সময়ের জন্য যীশু প্রেরিতদের উপর ফুঁ দিয়েছিলেন। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার প্রায় দুই দিনের মধ্যে, তারা ভয়াবহ কষ্ট ভোগ করেছিল। তারা তাদের "জরুরী খাদ্য" পায়নি। অতএব, যীশুর পক্ষ থেকে তাদের উপর তাঁর আত্মা ফুঁ দেওয়া একটি জরুরি পদক্ষেপ ছিল। এটি "পবিত্র আত্মা"-এর ব্যক্তি ছিলেন না যাকে পেন্টেকস্টে ঢেলে দেওয়া হয়েছিল, কারণ যীশু স্বর্গীয় পবিত্র স্থানে তাঁর সেবা শুরু না করা পর্যন্ত তিনি আসতে পারেননি, বরং এটি ছিল স্বয়ং যীশুর আত্মার দ্বারা শক্তিশালীকরণ। আমাদের মধ্যে ত্রিত্ব-বিরোধীরা এই সবকিছু গুলিয়ে ফেলে, এবং তাদের মধ্যে বিরাট বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

চল্লিশ দিন ধরে, যীশু তাঁর শিষ্যদের সাথে ছিলেন, তাদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন:

খ্রীষ্ট তাঁর শিষ্যদের সাথে কাটানো এই দিনগুলিতে, তারা এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। যখন তারা তাদের প্রিয় প্রভুকে যা কিছু ঘটেছিল তার আলোকে শাস্ত্র ব্যাখ্যা করতে শুনল, তখন তাঁর প্রতি তাদের বিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হল। তারা এমন জায়গায় পৌঁছে গেল যেখানে তারা বলতে পারল, "আমি জানি আমি কাকে বিশ্বাস করেছি।" ২ তীমথিয় ১:১২। তারা তাদের কাজের প্রকৃতি এবং ব্যাপ্তি বুঝতে শুরু করেছিল, তারা দেখতে পেয়েছিল যে তাদের উপর অর্পিত সত্যগুলি বিশ্বকে ঘোষণা করতে হবে। খ্রীষ্টের জীবনের ঘটনাবলী, তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থান, এই ঘটনাগুলির প্রতি ইঙ্গিত করা ভবিষ্যদ্বাণীগুলি, পরিত্রাণের পরিকল্পনার রহস্যগুলি, পাপের ক্ষমার জন্য যীশুর শক্তি -- এই সমস্ত কিছুর তারা সাক্ষী ছিল, এবং তাদের সেগুলো বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে হয়েছিল। তাদের অনুতাপ এবং ত্রাণকর্তার শক্তির মাধ্যমে শান্তি ও পরিত্রাণের সুসমাচার ঘোষণা করতে হয়েছিল। {এএ 27.1}

এই চল্লিশ দিন সেই সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে যখন আমরা "পবিত্র আত্মার" রেশন পাব এবং যীশু আমাদের উচ্চস্বরে ডাকের জন্য প্রস্তুত করবেন। এই সময়টি এখন। এটি ২০১০ সালের বসন্তে শুরু হয়েছে এবং রবিবারের আইন ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে। তারপর, যারা যীশুর দ্বারা এবং তাঁর সিংহাসন থেকে সরাসরি আসা বিস্ময়কর বার্তাগুলি দ্বারা শিক্ষা এবং শক্তিশালী হয়নি তারা "ঈশ্বরের উপস্থিতি দ্বারা সতেজতা" অকাট্যভাবে পাবে না।

আর আমাদের প্রভু আমাদের জন্য অন্য কিছু রেখে গেছেন, যাতে আমরা জানতে পারি যে এই মুহূর্তটি এখনই এসে গেছে। উপরের ঘরে যীশুর প্রথম আবির্ভাবের দৃশ্যের পদগুলি অনুলিপি করে, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি পদ বাদ দিয়েছি, যাতে এটি একটু পরে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করা যায়। এই বাক্যটি আমাদের দেখায় যে ভবিষ্যদ্বাণীর সময় প্রবাহে আমরা ঠিক কোথায় আছি এবং ছায়া বলিদানের ধরণগুলি কী। পবিত্র আত্মা যখন আপনাদের এই শিক্ষাটি বুঝতে সাহায্য করবেন তখন আপনাদের অনেকেই আনন্দিত হবেন, কারণ আপনারা শিখবেন যে ১,৪৪,০০০ জনের মধ্যে থাকতে চাইলে মেষশাবক যেখানেই যান না কেন, আপনাদের অবশ্যই তাঁর অনুসরণ করতে হবে (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৪)।

শিষ্যদের উপর ফুঁ দিয়ে তাদের আত্মার সতেজতা প্রদান করে যীশু এটাই প্রথম কাজ করেননি। এর আগেও কিছু ঘটেছিল। তাঁর আবির্ভাবের সময়, যীশু তাদের শান্তি কামনা করেছিলেন এবং তারপর একটি বিশেষ অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন:

তারপর সন্ধ্যায় একই দিন, সপ্তাহ, যখন দরজা বন্ধ যেখানে শিষ্যদের ইহুদী নেতাদের ভয়ে একত্র ছিল প্রথম দিন হচ্ছে, যীশু এসে তাঁদের মাঝে এসে দাঁড়ালেন আর তাদের বললেন, 'তোমাদের শান্তি হোক। এই কথা বলে তিনি তাদের তাঁর হাত ও পাঁজরের পাশ দেখালেন। তখন শিষ্যরা প্রভুকে দেখে আনন্দিত হলেন। (জন 20: 19-20)

প্রথমত, যীশু তাঁর আত্মা তাদের উপর ফুঁ দেওয়ার আগে, তিনি শিষ্যদের তাঁর ক্ষত দেখালেন। কেবলমাত্র তখনই তারা অবশেষে "তাদের প্রভুকে দেখে আনন্দিত হয়েছিল" এবং তাঁকে চিনতে পেরেছিল যে তিনিই আসলে তাদের সাথে কথা বলছেন। এর আগে যীশু তাদের তাঁর আত্মা প্রদান করবেন। যারা যীশুকে তাঁর ক্ষত দেখে চিনতে পারবে, কেবল তারাই ক্লেশের আগে সতেজতা পাবে, যা তাদেরকে হতাশা, বিভ্রান্তি এবং হতাশা ছাড়াই সমস্ত পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

আর যারা ওরিয়ন অধ্যয়নটি পড়েছেন এবং ১৬৯ থেকে ১৭৮ স্লাইডগুলি জানেন, তারা জানেন যে আমাদের প্রভু যীশু এই মুহূর্তে কোথা থেকে তাঁর ক্ষত দেখাচ্ছেন এবং আমাদের বলছেন: “তোমাদের শান্তি হোক; আমার পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন, আমিও তেমনি তোমাদের পাঠাচ্ছি।” তোমরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করো।"

তুমি কি তার কণ্ঠস্বর চিনতে পারো? তুমি কি জানো এটা কোথা থেকে আসছে?

শীঘ্রই আমরা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম, যেন অনেক জলরাশি, যা আমাদের যীশুর আগমনের দিন এবং ঘন্টা জানিয়েছিল। জীবিত সাধুগণ, সংখ্যায় ১,৪৪,০০০ জন, সেই কণ্ঠস্বর জানতেন এবং বুঝতেন, যখন দুষ্টরা ভেবেছিলেন এটি বজ্রপাত এবং ভূমিকম্প। যখন ঈশ্বর সময়টি বললেন, তিনি আমাদের উপর পবিত্র আত্মা ঢেলে দিলেন, এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। এবং ঈশ্বরের মহিমায় উজ্জ্বল হও, যেমন মোশি সিনাই পর্বত থেকে নেমে এসেছিলেন।EW 14.1}

এটা পড়ার সময় কি তোমার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, আর আমাদের প্রভুর আসন্ন আগমনের এই সুসংবাদ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা কি তোমার মধ্যে জ্বলে ওঠে, যাতে তারাও তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার পেতে পারে?

নাকি তুমি থমাসের পাশে দাঁড়াও, যার ক্ষেত্রে ছিল ভিন্ন ঘটনা?

সন্দেহপ্রবণ অনেকেই নিজেদের অজুহাত দিয়ে বলে যে, থমাসের সঙ্গীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রমাণ যদি তাদের কাছে থাকত, তাহলে তারা বিশ্বাস করত। তারা বুঝতে পারে না যে তাদের কাছে কেবল সেই প্রমাণই নয়, আরও অনেক কিছু আছে। থমাসের মতো যারা সন্দেহের সমস্ত কারণ দূর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে, তারা কখনও তাদের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে পারবে না। তারা ধীরে ধীরে অবিশ্বাসে দৃঢ় হয়ে ওঠে। যারা নিজেদেরকে অন্ধকার দিকটি দেখার জন্য শিক্ষিত করে, এবং বচসা ও অভিযোগ করে, তারা জানে না তারা কী করে। তারা সন্দেহের বীজ বপন করছে, এবং তাদের অবশ্যই সন্দেহের ফসল কাটতে হবে। এমন এক সময়ে যখন বিশ্বাস এবং আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই অনেকেই আশা এবং বিশ্বাস করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। {ডিএ 807.5}

২০১০ সালের বসন্তকাল থেকে শেষ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আপনি কি বিশ্বাসের সাথে এটি গ্রহণ করেছেন, এবং আপনি কি যীশুকে অনুসরণ করে স্বর্গীয় পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন, যেখান থেকে তিনি সমস্ত বিশ্বকে তাঁর ক্ষত দেখান, যাতে কারও অজুহাত না থাকে, বিশেষ করে অ্যাডভেন্টিস্টদের নয়, যাদের ওরিয়ন থেকে আসা তাদের প্রভুর কণ্ঠস্বর চিনতে পারা উচিত ছিল?

সম্ভবত এই গবেষণার শেষ অংশের প্রস্তুতিমূলক গবেষণার এখানেই সমাপ্তি। এটি আবারও ওরিয়ন যা দেখিয়েছেন তার সবকিছু নিশ্চিত করবে এবং আরও অনেক কিছু, কারণ সময় ফুরিয়ে আসছে। স্বর্গীয় পবিত্র স্থানটি তার পার্থিব প্রতিরূপে প্রতিফলিত হচ্ছে। যীশুর কণ্ঠস্বরও সেখান থেকে শোনা যাচ্ছে! কিন্তু কে শুনবে, যাতে তাঁর প্রকৃত আত্মত্যাগ, যার দিকে সমস্ত ছায়ার বলিদান সর্বদা নির্দেশ করে, তা বৃথা না যায়?